কানাডায় নিষিদ্ধ ছিল গাঁজা। তবে কয়েক মাস আগে দেশটির সরকার গাঁজা বৈধ
করেছে। তাই দেশটির বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় গ্রিনহাউস তৈরি করে গাঁজা চাষ
করার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু চাষের জন্য সেখানে উপযুক্ত কর্মী নেই । তাই তারা
দক্ষ জনবল খুঁজছে।
কানাডায়
পাঁচ বছর ধরে গাঁজা চাষ বৈধ হয়েছে। এবং দেশটিতে গাঁজা বৈধ করার পর এর
চাষেরও বেড়েছে ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু তারা দক্ষ কর্মী পাচ্ছে না।
বৈধভাবে
গাঁজা চাষ করে এমন এক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী অফিসার ন্যুফেবাহ
জানিয়েছেন, 'গরমকালে যখন গরম ও আর্দ্রতা চরমে থাকে তখন গ্রিন হাউসের মধ্যে
কাজ করা খুবই কষ্টকর। ঠান্ডা হাওয়া চালিয়ে আমরা গরম কম করার চেষ্টা করি।
কিন্তু জুলাই-অগস্টে পরিস্থিতি খুবই কষ্টকর।
কানাডার
প্রত্যেকটি কোম্পানিতে প্রায় একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সাল অবধি
কানাডার লাইসেন্স প্রাপ্ত গাঁজা চাষ করা কোম্পানিগুলো আড়াই হাজার কর্মী
নিয়োগ করেছিল।
কানাডার
বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি
সময় অবধি প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের দরকার ছিল। সে দেশের লাইসেন্স
প্রাপ্ত সবথেকে বড় কোম্পানি ক্যানোপি গ্রোথ কর্পোরেশনের ১ হাজার ২০০টি
চাকরির পদ খালি পড়ে রয়েছে।
বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কানাডার গাঁজা চাষ করা প্রথম আটটি বড় কোম্পানি প্রায় ১ হাজার ৭০০ কর্মীকে নিয়োগ করবে।
দেশটির একটি
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, গাঁজা চাষ বৈধ হওয়ায় আগামী দিনে গাঁজা
নিয়ে গবেষণা, নিষ্কাষণ ও ওইজাত দ্রব্য তৈরির জন্য প্রচুর লোক নিয়োগ করতে
হবে। গাঁজা চাষ এবং সেই সম্পর্কিত শিল্পের বিস্তার আগামী এক বছরে প্রায় ১
লক্ষ ২৫ হাজার লোককে চাকরির ব্যবস্থা করবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।
No comments:
Post a Comment